আবাবিল ফান্ড এই প্রথম বাংলাদেশে একমাত্র অনলাইন ভিত্তিক এবং রেজিষ্ট্রিশনকৃত গণ-অর্থায়ন (crowdfunding) প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি পহেলা মার্চ, ২০২১ সালে আমেরিকা এবং বাংলাদেশী কিছু সমাজকর্মীর সমন্বয়ে মানব সেবার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। অসহায় বিপদ্গ্রস্থ মানুষের মানবিক আবেদন বা প্রয়োজনকে কিভাবে সমাজের সর্ব স্তরের জনসাধারণের কাছে অর্থাৎ অসহায় মানুষকে সাহায্য করার মন মানসিকতা সম্পন্ন মানুষের কাছে বা সমাজের উচ্চবিত্ত মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় সেই ধারনা থেকে আবাবিল ফান্ড এর উৎপত্তি।
জনসাধারণকে ভালো কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ ও সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে একে অপরের প্রতি সহযোগী মনোভাব, মানবতা ও উদারতার মাধ্যমে দেশ ও সমাজের অবহেলিত, বিপদ্গ্রস্থ মানুষের পাশে দাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে আবাবিল ফান্ড এর যাত্রা। স্বাভাবিক ভাবেই আমরা এককভাবে অনেক কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যা বা সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হই অথচ সেই কাজ সমষ্টিগতভাবে করলে চলার পথ অনেকটাই সহজ বা সুগম হয়ে যায়। ব্যাপারটি “দশের লাঠি একের বোঝা” এর মত। আবাবিল ফান্ড এর মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে, জনগনকে ভালো কাজের সাথে সম্পৃক্ত করে সমষ্টিগতভাবে একে অপরের বিপদে এগিয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া অর্থাৎ সাহায্যপ্রার্থী এবং সাহায্যদাতার মধ্যে সরাসরি সেতু বন্ধন তৈরি করে দেয়ার মাধ্যমে সাহায্য দাতার দান কে সঠিক ব্যাক্তির কাছে ব্যাক্তির কাছে স্বচ্ছতার সাথে পৌঁছে দেয়াই হচ্ছে আবাবিল ফান্ড এর মূল উদ্দেশ্য।
১। আপনি আপনার নিজের জন্যে ফান্ড (সাহায্য) সংগ্রহ করতে পারবেন।
২। আপনার মাধ্যমে অন্যের জন্যে (ব্যক্তি পর্যায়ে) ফান্ড (সাহায্য) সংগ্রহ করতে পারবেন।
৩। আপনার মাধ্যমে যেকোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্যে ফান্ড (সাহায্য) সংগ্রহ করতে পারবেন।
আবাবিলের রয়েছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মেধাসম্পন্ন এবং বিশ্বস্ত পরিচালনা কমিটি, রয়েছে জবাবদিহিতার অনুভূতি। অনলাইনে দান করার ক্ষেত্রে সম্পুর্ন হয়রানিমুক্ত এবং লেন-দেনের ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা (সিকিউরিটি) বজায় রাখা হয়। অন্যদিকে, দাতার দানকে সাদরে গ্রহণ করে স্বল্প সময়ের মধ্যে অধিক মূল্যায়ন ও সঠিকভাবে তার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হয়। এর রয়েছে বিশেষ একটা টিম; যারা সঠিক উপায়ে, সঠিক জায়গায় এবং নির্ধারিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আপনার দানকৃত অর্থ বা অনুদান পৌঁছে দিয়ে থাকেন, সাথে গভীর পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিবেদনতো থাকছেই। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এখানে সকল সাহায্যদাতা এবং সাহায্য প্রার্থী নিজে লাইভ দেখতে পারছে কত টাকা সংগ্রহীত হচ্ছে । কাজেই এখানে কোন ধরনের লুকোচুরি বা ছলের আশ্রয় নেয়ার কোন সুযোগ নেই। সুতরাং,আবাবিল ফান্ড এর বিশ্বস্ততা এবং এর প্রক্রিয়া আপনার সংশ্লিষ্টতার অন্যতম কারন হতে পারে। আপনি আবাবিল ফান্ড এর উপর শতভাগ ভরসা করে সমাজের পিছিয়ে পড়া দুস্থ, অসহায় মানুষের পাশে সহজেই দাড়াতে পারেন। আবাবিল ফান্ড এর অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে;
আপনি (ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান) কি অবহেলিত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সমাজ উন্নয়নে কাজ করতে ইচ্ছুক ? আবাবিল ফান্ড এর মাধ্যমে আপনি আপনার মানবিক আবেদনকে সারাবিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। আপনার এই ক্ষুদ্র চেষ্টা সাহায্যদাতা এবং সাহায্য গ্রহীতার মাঝে সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করতে পারে। আপনি সরাসরি নিজে ব্যাক্তিগতভাগে কিছু করতে না পারলেও আপনি একজন অসহায়, দুঃস্থ, বিপদ্গ্রস্থ ব্যাক্তির জন্য সাহায্য সংগ্রহ করতে পারেন। শুধু ব্যাক্তি বিশেষেই নয়, যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এর জন্যও সাহায্য সংগ্রহ করতে পারেবেন। কোন কোন বিষয়ে কি নিয়ে ফান্ড সংগ্রহ করা যাবে সে বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্যে নিন্মে ফান্ড সংগ্রহের কিছু ক্ষেত্র গুলো তুলে ধরা হলো-
স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসার জন্যে ফান্ড সংগ্রহ করতে পারেন, নিজের জন্যে বা সরাসরি অসুস্থ্য ব্যক্তির জন্যে ফান্ড সংগ্রহ, হতে পারে স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসার কেন্দ্রিক কোন প্রতিষ্ঠানের জন্যে, এমনকি রিসার্চ বা গবেষণার প্রয়োজনে।
সমাজের অক্ষমতা সম্পর্ন ব্যক্তিদের পরিসেবায় ফান্ড সংগ্রহ করা যেতে পারে, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিভিন্ন কার্যক্রম বা প্রোজেক্ট হাতে নেয়া যায়।
শিশু ও যুব উন্নয়নমূলক কাজে ফান্ড সংগ্রহ করতে পারেন, হতে পারে তাদের অস্থায়ী এবং স্থায়ী সেবামূলক কাজ ও কর্মশালা, যা দেশ ও জাতীয় উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি ভূমিকা পালন করবে।
সামাজিক কাজ ও সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্র তৈরি করা, প্রয়োজনে এর জন্যে ফান্ড সংগ্রহ করা। সমাজের হত-দরিদ্রের পাশে থাকা, এমনকি যারা গৃহীন অবস্থায় কষ্ট করছেন তাদের গৃহ নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করা।
আমরা জানি শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, কোন জাতি এই অর্জন ছাড়া সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো সম্ভব নয়। অনেক মেধাবী ছাত্র/ছাত্রী পারিবারিক আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারনে ছাত্র জীবনেই পড়ালেখা ছেড়ে জীবিকার সন্ধানে বের হতে হয়। অথচ সামান্য সুযোগ পেলে তারাও তাদের জীবনকে সাজিয়ে গুছিয়ে নিতে পারে এবং তখন তারা সমাজের বোঝা না হয়ে সম্পদে রূপান্তরিত হতে পারে। সুতরাং, অর্থের অভাবে যারা স্কুলে যায় না বা যেতে পারছে না তাদের জন্যে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা। ফান্ড সংগ্রহ করে প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা, শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান বা বৃত্তি দেয়া, এমনকি তাদের মাঝে শিক্ষা-উপকরণ বিতরণ করা।
বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যক্রম কেন্দ্রিক ফান্ড সংগ্রহ করা যেতে পারে, অনেক দাতা বা দাতা-সংস্থা রয়েছেন যারা ধর্মীয় বিশ্বাসে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং মানুষের জীবন-সংসার উন্নয়নে অর্থনতিক সহযীগিতা করে থাকেন। যেমন; মসজিদ-মাদ্রাসা তৈরি, ঈদ ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা, ইত্যাদি।
বসমাজে চলতে গিয়ে নিজের বা প্রতিবেশীর নানাবিধ সমস্যা পরিলক্ষিত হয়, যেমন বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত এলাকার মানুষ হঠাত করেই বিপদে পড়ে যায়। উক্ত সমস্যার ক্ষেত্রে বিপদগ্রস্ত মানুষের জন্য ফান্ড সংগ্রহ করে তাদের সাময়িক প্রয়োজন মিটিয়ে বিপদ থেকে উদ্ধার করা যায়। উদাহরণ স্বরূপ সাম্প্রতিক সিলেটের বন্যা পরিস্থিতে আমাদের বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তদ্রুপ মায়ানমার এর রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কে এখনো আমাদের দেশ সহ বিভিন্ন দেশের জনগন সাহায্য করছে ।
উল্ল্যেখিত ক্ষেত্রগুলোর মাধ্যমে ফান্ড সংগ্রহের একটা আইডিয়া বা চিন্তা জেনারেট করা হয়েছে মাত্র। সুতরাং, আপনি আপনার নতুন বিষয় এবং সমস্যা নিয়ে ফান্ড সংগ্রহ করতে পারেন।
প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবাবিলের অনলাইন ফান্ড সংগ্রহের ফর্মটি যথানিয়মে পূরণ করুণ এবং আবাবিল টিম এর সাথে যোগাযোগ রাখুন। আবাবিল টিম আপনাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে ফান্ড সংগ্রহের জন্য যথাযথ পরামর্শ প্রদান করবে।